মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি কোম্পানি এবার থেকে ল্যাবরেটরিতে তৈরি মুরগীর মাংস বিক্রি করতে পারবে। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (USDA) আপসাইড ফুডস এবং গুড মিট নামক দুটি কোম্পানিকে এই অনুমোদন দিয়েছে। সংস্থার একজন মুখপাত্র এএফপিকে বলেছেন, অনুমোদন মেলার পর সংস্থাগুলি শীঘ্রই নির্বাচিত রেস্টুরেন্টগুলিতে তাদের ল্যাব-উৎপাদিত মাংস সরবরাহ করবে । কোনও জীবন্ত পশুর কোষ বা তাদের নিষিক্ত ডিম্বানু থেকে তৈরি করা হয় সেল ব্যাঙ্ক। সেইসব কয়েক দশক সংরক্ষণ করে রেখে দেওয়া যায়। পরে সেইসব কোষ থেকে মাংস তৈরি করা হয়। মাংস তৈরির সময় পুষ্টিগুণের দিকটি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা হয়।
গুড মিটের সিইও জোশ টেট্রিক যোগ করেছেন, তাদের ল্যাব-উৎপাদিত মাংস এখন বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করার জন্য অনুমোদিত। অনুমোদনের পর, সান ফ্রান্সিসকোতে থ্রি -মিশেলিন রেস্টুরেন্টের তারকা শেফ ডমিনিক ক্রেন প্রথম অর্ডারটি পেয়েছেন । গুড মিট, ইতিমধ্যে, তার প্রথম ব্যাচের উৎপাদন শুরু করেছে যা সেলিব্রিটি শেফ জোসে আন্দ্রেসকে বিক্রি করা হবে।আন্দ্রেস রাজধানী ওয়াশিংটনের একটি রেস্তোরাঁয় সেই মাংস বিক্রি করবেন। এদের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি স্টার্ট-আপ সংস্থা ল্যাব-উৎপাদিত মাংস উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছে, যা মানুষকে পরিবেশগত ক্ষতি ছাড়াই প্রোটিন সমৃদ্ধ মাংস খাওয়ার সুযোগ করে দেবে।
২০২০ সালে সিঙ্গাপুরের ইট জাস্ট সংস্থা প্রথম কৃত্রিম মাংস তৈরির অনুমোদন পায়। যদিও ল্যাব-উৎপাদিত মাংসকে পরিবেশ বান্ধব বিকল্প হিসাবে ধরা হচ্ছে, তবুও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডেভিস গত মাসে একটি গবেষণায় এই অনুমানের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন । তাদের দাবি চাষ করা মাংসের পরিবেশগত প্রভাব “অর্ডার অফ ম্যাগনিচুড” বেশি হতে পারে- অন্তত গরুর মাংসের ক্ষেত্রে। কারণ এটি উৎপাদনের সমস্ত পর্যায়ে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । যদি কোম্পানিগুলিকে ফার্মাসিউটিক্যাল স্তরে বৃদ্ধির মাধ্যমকে শুদ্ধ করতে হয়, তবে তাদের বিশ্ব উষ্ণায়নের দিকটি মাথায় রাখা উচিত বলে মনে করেন গবেষকরা।
সূত্র : এনডিটিভি