রাজধানীর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত গভীর রাতে পাড়ি দিল মেট্রোরেল। আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষামূলক চলাচলের আগের প্রস্তুতি হিসেবেআগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু করতে যাচ্ছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। তাই সে আয়োজন ঝালিয়ে নিতে প্রথমবার মতিঝিল পর্যন্ত ছুটেছে মেট্রোর কোচ। পরীক্ষামূলক চলাচলের প্রথম ধাপ পারদর্শিতা পরীক্ষা বা পারফরম্যান্স টেস্ট। এর পরের ধাপে হবে ‘সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন টেস্ট’। চূড়ান্ত পর্যায়ে হবে ‘ট্রায়াল রান’ বা পরীক্ষামূলক চলাচল।
কর্তৃপক্ষ বলছে, পরীক্ষামূলক চলাচলের তিনটি ধাপের প্রথমটি শুরু হবে শুক্রবার অথবা শনিবার। চলতি বছরের ১৫ অক্টোবরের মধ্যে পরীক্ষামূলক চলাচল শেষ করতে চায় ডিএমটিসিএল। এরপরই শুরু হবে এমআরটি সিক্স পুরো লাইনে যাত্রী বহন।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, থিওরিটিক্যালি সব কাজ শেষ হয়েছে; এখন প্র্যাকটিক্যালি ট্রেনটিকে নিয়ে যেতে হবে। এ রুটে মেট্রোরেল চলাচলের দক্ষতার জন্য যে কাজগুলো করা দরকার সেগুলো এখন রাতের বেলা করা হচ্ছে। স্টেশনগুলো ঠিকমতো হয়েছে কী না, লোড নেয়ার যে সক্ষমতা সেটা ঠিক আছে কী না, সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, উড়াল রেল চলাচলের এমন দৃশ্য নগরবাসীর কাছে এখন নতুন নয়। তবে নতুন ঠিকানায় হঠাৎই নগর রেলের হুইসেলের শব্দ আর দৃশ্য দেখে খুশি নগরবাসীও।
তারা জানান, এ রুটে প্রথম মেট্রোরেল চলতে দেখেছেন। এখানে মেট্রোরেল চালু হলে মানুষ সুবিধা পাবে। অনেকে অপেক্ষায় আছেন কবে এ রুটে উড়াল ট্রেন চালু হবে। মতিঝিল থেকে বাসে করে মিরপুর বা উত্তরা যেতে আগে অনেক সময় লাগত। এখন মেট্রোরেল চালু হলে যাতায়াত অনেক সহজ হবে।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোর এ পথে স্টেশন রয়েছে ৯টি। এর পরেই বিজয়সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, টিএসসি, প্রেসক্লাব ও মতিঝিল – এ ৭ টি স্টেশনে বুধবার রাতে মেট্রোরেল চলায় উচ্ছ্বসিত হন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
চলতি বছরের জুন পর্যন্ত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে কাজের অগ্রগতি ৯৫ শতাংশেরও বেশি। মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের কাজের অগ্রগতি সাড়ে ৭ শতাংশ। মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।