সুজন হোসেন রিফাত মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয় আরোও ১৫ জন।
(৪ নভেম্বর) শনিবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সদর উপজেলার সমাদ্দার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর সড়কে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতায় বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। নিহত মলিনা বেগম (৬৫) পটুয়াখালী সদরের ঠেংগা এলাকার মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। আহতরা হলো, পটুয়াখালীর এম হকের ছেলে মোহাম্মদ হক (৬৫) ও তার স্ত্রী সুলতানা হক (৫০), একই জেলার হাজিখালি এলাকার ইউনুস হাওলাদারের ছেলে জুয়েল হাওলাদার (২৫), কুষ্টিয়া সদরের খোকসা গ্রামের সনজেল হাওলাদারের ছেলে শাকিল হাওলাদার (২৫), ঝালকাটি জেলার নলসিটি উপজেলার রায়পুর গ্রামের খলিল খানের ছেলে মামুন খান (৩৫)। বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাজধানী ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে সাকুরা পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস। দুপুরে সড়কে সদর উপজেলার সমাদ্দার এলাকায় আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ। এ সময় বাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের যাত্রী মলিনা বেগম মারা যান। আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুর্ঘটনার পর ঢাকা-বরিশাল মহাসকের দুইপাশে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। প্রায় দুইঘন্টার পর স্বাভাবিক হয় সড়কে যান চলাচল।
রাতুল আকন নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সমাদ্দার এলাকায় ব্রিজ থেকে নামার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সাকুরা পরিবহনের অতিরিক্ত গতির কারনেই এ দুর্ঘটনা।
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ শিকদার জানান, খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে জেলা সদর হাসপাতালে। বাসটি বেপরোয়াভাবে চালানোর কারনেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম খান বলেন, বাসা ও ট্রাকের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়। আহত হয় আরো বেশ কয়েকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করে।