রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৩ অপরাহ্ন
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

বোনের বাড়ি থেকে ফেরা হলো না একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি মোহাম্মদ রফিকের

সুজন হোসেন রিফাত, মাদারীপুর প্রতিনিধি
Update : সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩, ৪:০৪ অপরাহ্ন

সুজন হোসেন রিফাত রাজৈর  প্রতিনিধি মাদারীপুর : কবি মোহাম্মদ রফিক আর নেই। রোববার  দিবাগত রাতে  বরিশাল থেকে ঢাকা ফেরার পথে তার মৃত্যু হয় বলে পারিবারিক সূত্র জানায়। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
কবির ভাই মোহাম্মদ তারেক বলেন, কবি মোহাম্মদ রফিক বরিশালে বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। রোববার রাতে সেখান থেকে থেকে ঢাকা আসার পথে মাদারীপুরের  রাজৈর উপজেলায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। গাড়িতে থাকা অবস্থায় তার বমি শুরু হয়। পরে সেখানকার রাজৈর  উপজেলা  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১০টার দিকে চিকিৎসক ডা:  আকাশ বনিক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, কবিকে ঢাকা আনা হবে না। তার মরদেহ বাগেরহাটে গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মোহাম্মদ রফিকের জন্ম ২৩ অক্টোবর ১৯৪৩ সালে বাগেরহাটে। ২০১০ সালের একুশে পদকপ্রাপ্ত এ কবি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন।
একজন মননশীল আধুনিক কবি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া মোহাম্মদ রফিক খুলনা জেলা স্কুল থেকে ১৯৫৮ সালে মাধ্যমিক পাস করেন। পরে ঢাকার নটরডেম কলেজে ভর্তি হন। ১৯৬১ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাসের পর রাজশাহী সরকারি কলেজে ইরেজি বিভাগে ভর্তি হন এবং স্নাতক শেষ করেন।
তার আত্মপ্রকাশ ১৯৬০-এর দশকে। পাকিস্তান আমলে ছাত্র আন্দোলন ও কবিতায় এবং স্বাধীন বাংলাদেশে আশির দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে কাব্যিক রসদ যুগিয়ে তিনি বিখ্যাত হন।
১৯৭০ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ প্রকাশিত হয়। ১৯৭৬ সালে প্রকাশ পায় তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘ধুলার সংসারে এই মাটি’।
কবির উল্লেখযোগ্য অন্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো- কীর্তিনাশা (১৯৭৯), খোলা কবিতা ও কপিলা (১৯৮৩),গাওদিয়ায় (১৯৮৬),স্বদেশী নিশ্বাস তুমিময় (১৯৮৮), মেঘে এবং কাদায় (১৯৯১), রূপকথা কিংবদন্তি (১৯৯৮),মৎস্য গন্ধ্যা (১৯৯৯), মাতি কিসকু (২০০০), বিষখালি সন্ধ্যা (২০০৩), নির্বাচিত কবিতা (২০০৩),কালাপানি (২০০৬), নির্বাচিত কবিতা (২০০৭), নোনাঝাউ (২০০৮), দোমাটির মুখ (২০০৯), ত্রয়ী (২০০৯), মোহাম্মদ রফিক রচনাবলী-১ (২০০৯), মোহাম্মদ রফিক রচনাবলী-২ (২০১০)।
কবিতার পাশাপাশি তার গদ্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ভালবাসার জীবনানন্দ (২০০৩), আত্মরক্ষার প্রতিবেদন (২০০১), স্মৃতি বিস্মৃতির অন্তরাল (২০০২)।
বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান মোহাম্মদ রফিক। এ ছাড়া আলাওল পুরস্কারসহ (১৯৮১) বিভিন্ন পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host