রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাধার মূখে ঝিনাইদহ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা

মোঃ শাহানুর আলম, স্টাফ রিপোর্টার
Update : বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ৫:৩৪ অপরাহ্ন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাপ প্রয়োগের অভিযোগ এনে ঝিনাইদহ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে বারভবনে তারা এ ঘোষণা দেন। ঝিনাইদহ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এ্যাড. আজিজুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে চাপ দিচ্ছে। এছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরাও নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় আমরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছি। আমাদের কোন প্রার্থী বা সমর্থক এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।
এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট খায়রুজ্জামান জানান, জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আমি নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলাম। গত ২৫ নভেম্বর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ৩ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন। আমি তাদের দাবির বিষয়ে লিখিতভাবে বারকে জানায় সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য কিন্তু বারের পক্ষ থেকে আমাকে কোন সিদ্ধান্ত দিলেন না। নির্বাচন নিয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে আমি নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি। সেকারণে আমি নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব থেকে নিজেও পদত্যাগ করেছি। লিখিত পদত্যাগপত্র আমি বারে দাখিল করেছি। এছাড়া আমার সাথে দু’জন সহকারী নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। তারা হলেন এডভোকেট আব্দুল মালেক ও এডভোকেট তারিকুল আলম। তাদের মধ্যে এডভোকেট আব্দুল মালেকও পদত্যাগ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর আইনজীবী সমিতি ভবনে নির্বাচনের দায়িত্বরত নির্বাচন কমিশনারের কাছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহবায়ক আবু হুরাইরা ও সদস্য সচিব সাইদুর রহমান ৩ দফা দাবি সম্বলিত এক স্মারকলিপি লিপি প্রদান করেন। এতে বলা হয় এই নির্বাচনে আওয়ামী পন্থীদের অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হলে জুলাই বিপ্লবের হাজারো শহীদের রক্তের সাথে বেইমানী করা হবে। তাদের কোন ভাবেই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে দেওয়া হবে না।
২৮ নভেম্বর ভোটগ্রহণের দিন ধার্য্য ছিল। নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ৩২০ জন। নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত ঐক্য পরিষদের সবুজ প্যানেলে ১৭ জন, আওয়ামীপন্থী সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদরে লাল প্যানেলে ১৭ জন ও স্বতন্ত্র সাদা প্যানেলে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host