বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ

এন এস বি ডেস্ক

Update : সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪, ৬:৪৫ অপরাহ্ন

এন এস বি ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল কেন্দ্র করে বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে ৪টি মোটরসাইকেলে অগ্নি সংযোগসহ অন্তত ৩০টি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলা সদরের মুসা মার্কেট এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, আগামী ২০ নভেম্বর বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিএনপির কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই পুরো বাঞ্ছারামপুর উপজেলা জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরে দুপুর ১টার দিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের মোড় থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আব্দুল খালেক ও অপর নির্বাহী সদস্য রফিক শিকদার নেতৃত্বে সম্মেলন বিরোধী একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে রামদা, লাঠিসোঁটা নিয়ে হাজারও নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।পরে মিছিলটি উপজেলার প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা সদরের মুসা মার্কেট এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় বিএনপির অপর গ্রুপ কেন্দ্রীয় কৃষকদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশের সমর্থকেরা মিছিলটি লক্ষ্য করে ছাদের উপর থেকে ইট-পাটকেলসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ও অন্তত ৩০টি দোকান পাট ভাঙচুর করা হয়। তবে সংঘর্ষ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে সংঘর্ষস্থলে দেখা যায়নি।এদিকে সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে অন্তত ৩০ জনকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন বাদল, যুবদলের মুসা হায়দায়, বিপ্লবসহ প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ জনকে ঢাকা মেডিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ অলি মোহাম্মদ রাসেল জানান, অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে ‌এদিকে হাসপাতালে উপস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার বলেন, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানে কাছে বিচার দাবি করছি।এই ঘটনায় পুরো উপজেলা জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে উপজেলা শহরের দোকানপাট। আগামী ২০ নভেম্বর পূর্ব নির্ধারিত কাউন্সিলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :