সনতচক্রবর্ত্তী, ফরিদপুর: অবশেষে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে ফরিদপুরের যৌনপল্লীর শিশুরা। তারা পেতে শুরু করেছেন জন্মনিবন্ধন বা জন্মসনদ। এবার বঞ্চিত এসব শিশুরা যেতে পারবে স্কুলে, পড়তে হবে না কোনো জটিলতায়।শনিবার (০৯ আগস্ট) দুপুরে ফরিদপুর পৌরসভার হলরুমে শাপলা মহিলা সংস্থার উদ্যোগে প্রথম পর্যায়ে ফরিদপুরের রথখোলা ও সিএন্ডবি ঘাটের দুটি যৌনপল্লীর ৩৫ জন শিশু ও যৌনকর্মীকে এ জন্মসনদ দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। এর আগে ২০২৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ‘জন্মনিবন্ধন জটিলতায় স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না যৌনপল্লীর শিশুরা’ শিরোনামে সময় সংবাদে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
শাপলা মহিলা সংস্থা জানায়, যৌনপল্লী দুটিতে ৩৮৯ জন যৌনকর্মী রয়েছে। আর তাদের শিশু সন্তান রয়েছে ২৯৬ জন। এদের মধ্যে অনেকেরই জন্ম নিবন্ধন করতে না পারায় স্কুলে ভর্তি জটিলতায় ভুগছিল। যৌনকর্মীর সন্তানদের আবাসিকের পাশাপাশি পড়ালেখার সুবিধা দিয়ে আসছে শাপলা মহিলা সংস্থা। শহরতলীর গেরদায় শিশুদের আবাসনের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে ভবন। বর্তমানে সেখানে ৫০ জন মেয়ে ও ৩৫ জন ছেলে রয়েছে।
জন্মসনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্টরা জানান, দি ফ্রিডম ফান্ড’র সহযোগিতায় এসব শিশু ও যৌনকর্মীদের জন্মসনদ দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে সংস্থাটি। সেই ধারাবাহিকতায় বাবার নাম পরিচয় ছাড়াই বিশেষভাবে এই জন্মসনদ তৈরি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। যা ফরিদপুর পৌরসভার মাধ্যমে বিতরণ করা হয়।স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, এই জন্মসনদের মাধ্যমে সকল নাগরিক সুবিধা ভোগ করবে। এছাড়া তাদের সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করা হবে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও পৌর প্রশাসক মো. সোহরাব হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান, দ্যা ফ্রিডম ফান্ড’র বাংলাদেশের প্রতিনিধি খালেদা আক্তার, শাপলা মহিলা সংস্থার উপনির্বাহী পরিচালক শ্যামল প্রকাশ অধিকারী প্রমূখ।