সুজন হোসেন রিফাত মাদারীপুর প্রতিনিধি : ভাষা, সংস্কৃতি আর হাজার মাইল দূরের ব্যবধান-সবকিছুকেই হার মানিয়েছে ভালোবাসা। ধর্ম, জাতি কিংবা জাতীয়তার পার্থক্যও থামাতে পারেনি দুজন মানুষের হৃদয়ের টান। এমনই এক ব্যতিক্রমী প্রেমের গল্প রচিত হয়েছে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের মহিষেরচর এলাকায়।
সুদূর চীন থেকে বাংলাদেশে ছুটে আসা শিতিয়ানজি নামের এক চীনা যুবকের সঙ্গে সম্প্রতি মাদারীপুরের মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের সঙ্গে মুসলিম রীতিতে বিয়ে হয়।
প্রেমের টানে সুদূর চীন থেকে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন শিতিয়ানজি নামের এক চীনা যুবক। মাদারীপুরের সুমাইয়া আক্তারের সঙ্গে মুসলিম রীতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, চার মাস আগে টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হয় সুমাইয়া ও শিতিয়ানজির। পরে তারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে শুরু করেন উইচ্যাটে। বন্ধুত্ব থেকে সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। অবশেষে ২৪ জুলাই বাংলাদেশে এসে আসে শিতিয়ানজি পরে (২৭জুলাই) আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করে এবং মুসলিম শরিয়াত অনুযায়ী সুমাইয়াকে বিয়ে করেন শিতিয়ানজি। সুমাইয়া আক্তার মাদারীপুর সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী এবং উপজেলার মহিষেরচর গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে।
সুমাইয়া আক্তার বলেন, শিতিয়ানজি আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসেন। সেই ভালোবাসার টানেই তিনি চীন থেকে বাংলাদেশে এসেছেন।
সুমাইয়া জানান, ভালোবাসার টানে তিনি চীনা ভাষাও শিখেছেন। ভবিষ্যতে স্বামীর সঙ্গে চীনে যাওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন তিনি।
বিয়ে নিয়ে স্থানীয়দের মাঝেও দেখা গেছে ব্যাপক কৌতূহল ও উৎসাহ।
চীনা নাগরীক শিতিয়ানজি বলেন, আমি সুমাইয়াকে ভালবেসে চীন থেকে এসেছি সুমাইয়া অনেক ভাল মেয়ে।বাংলাদেশের পরিবেশ আমার খুব ভাল লেগেছে তবে এদেশে গরম অনেক বেশি।আর ভবিষ্যতে সুমাইয়াকে আমি চীনে নিয়ে যাবো।