বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

পুলিশ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের মামলায় মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার কারাগারে

সুজন হোসেন রিফাত, মাদারীপুর প্রতিনিধি
Update : বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪, ৬:০৩ অপরাহ্ন
*

সুজন হোসেন রিফাত মাদারীপুর প্রতিনিধি: পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে  দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদারকে  কারাগারে  পাঠিয়েছে আদালত। (২০ নভেম্বর  বুধবার) দুপুরে  জেলা  ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর এ আদেশ দেন। এর আগে সুব্রত কুমার হালদার উচ্চ  আদালত থেকে তিন মাসের জামিনে  ছিলেন। সুব্রত কুমার সর্বশেষ  রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন। দুপুর ১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মাদারীপুর সম্বনিত  জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো:  আকতারুজ্জামান। এই মামলায় বাকি ৪ আসামি জামিনে আছেন। আর বাকি একজন পলাতক রয়েছেন।
দুদক সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের  ২৮ মে  পুলিশের  কনস্টেবল পদে  নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে   হেড কোয়াটার্স। পরে  অসংখ্য নারী-পুরুষ আবেদন করলে ওই বছর ২৬ জুন ৩১ জন পুরুষ ও ২৩ জন নারীক কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগেই গত ২০১৯ সালের  ২৪ জুন থেকে ২৬ জুন কয়েক ধাপে ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা শহরের বিভিন  স্থান থেকে  গচ্ছিত  অবস্থায়  উদ্ধার করে পুলিশ হেড কোয়ার্টাসের একটি বিশেষ দল। পরে অনুসন্ধানে পুলিশ হেড কোয়াটার্স জানতে  পারে উদ্ধারকৃত টাকা বিভিন্ন পদে  পুলিশের  চাকুরী প্রত্যাশীদের কাছ  থেকে  নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের সুপারিশে  ২০২৩ সালের ৫ জুলাই দুদকের মাদারীপুর সম্বনিত  জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন প্রধান কার্যালয়ের  উপ-পরিচালক মো:  হাফিজুল ইসলাম। মামলায় আসামী করা হয় সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার, সাবেক কনস্টেবল নুরুজ্জামান সুমন, সাবেক কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম, সাবেক টিএসআই গোলাম রহমান, পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল সহকারি পিয়াস বালা ও মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি গ্রামের মৃত  সফিউদ্দিন ফরাজীর ছেলে হায়দার ফরাজীকে। পরে চলতি বছরের ১১ জুলাই সাবেক পুলিশ সুপারসহ ৫ জনের নামে আদালতে অভিযাগপত্র দাখিল করে দুদক। এছাড়া ঘটনায় জড়িত না থাকায় হায়দার ফরাজী নামে এক আসামীকে  মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে সুপারিশ করেন মামলা তদন্তকারী  কর্মকর্তা ও দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো:  হাফিজুর রহমান।
প্রসঙ্গত, মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার সর্বশেষ  রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত ছিলেন। অপরদিকে কনস্টেবল নুরুজ্জামান সুমন, জাহিদুল ইসলাম, গোলাম রহমান বরখাস্ত। এদিকে পিয়াস বালা চাকুরীচ্যুত। পুলিশের নিয়োগ কমিটির তিন সদস্যদের মধ্যে সভাপতি ও প্রধান ছিলন মাদারীপুরের তৎকালীন পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার। এছাড়া বাকি সদস্য ছিলন, মাদারীপুরের তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল ইসলাম ও গোপালগঞ্জের সাবেক সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।
মাদারীপুর দুদকের সহকারী পরিচালক মো:  আকতারুজ্জামান বলেন, ‘প্রধান আসামি সুব্রত কুমার হালদার উচ্চ  আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। তিনি মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্থায়ী  জামিনের জন্য আবেদন করেন। পরে আদালত শুনানি শেষে  আসামির জামিন নামঞ্জুর করে  কারাগারে পাঠানোর নির্দেশনা দেন। এ মামলায় অন্য আসামিরা কারাভোগ শেষে তারা নিম্ন  আদালত থেকে জামিনে  রয়েছেন।
দুদকের  আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো:  আনিসুর রহমান বলেন, ‘সুব্রত কুমার হালদার স্বেছায় আদালতে  হাজির হয়ে জামিন চাইলে  তীব্র আপত্তি জানানো হয়। পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে  কারাগারে প্রেরণ করেন। সুব্রত কুমারের  বিরুদ্ধে দুদকে  স্পষ্টভাবে দুর্নীতি প্রমাণ পাওয়ায় অভিযাগপত্র আদালতে দাখিল করেছে  দুদক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host