মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী সামরিক জোট ‘নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অ্যালায়েন্স’ তথা ন্যাটোকে এবার হুমকি দিলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলিনাসে আগামী ১১ ও ১২ জুলাই ন্যাটোর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ন্যাটোর অতিথি সদস্য হিসেবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের যোগ দেওয়ার কথা। কিন্তু কয়েক দিন আগে ন্যাটো মহাসচিব ইউক্রেনকে জোটে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য কিছু শর্ত দিয়েছিলেন। এবার তার জেরেই ন্যাটোকে আল্টিমেটাম দিলেন জেলেনস্কি।
প্রেসিডেন্টের দফতরের উপপ্রধান ইগোর ঝোভকা জানিয়েছেন, ন্যাটো যদি তার শর্ত তুলে নেয় এবং এই জোটের সদস্যপদের জন্য ইউক্রেনের আবেদনকে বিবেচনা করে, তাহলেই কেবল ন্যাটোর আসন্ন সম্মেলনে যাবেন জেলেনস্কি।
গণমাধ্যমকে ঝোভকা বলেন, “ভিলিনাসের সম্মেলন নিয়ে এতদিন আমরা আশায় বুক বেঁধেছিলাম। আমরা আশা করেছিলাম, এই সম্মেলনেই ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।”
গত ২৭ জুন উত্তর ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়ার রাজধানী তাল্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ জানিয়েছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরই কেবল ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে; তার আগে নয়। সেই সঙ্গে স্টলটেনবার্গ আরও জানিয়েছিলেন, ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে হলে ইউক্রেনকে অবশ্যই এ যুদ্ধে জয়ী হতে হবে।
ন্যাটো মহাসচিবের এই শর্তে হতাশা প্রকাশ করে ইগোর ঝোভকা বলেন, “যদি (ইউক্রেনকে সদস্যপদ দেওয়ার ব্যাপারে) ন্যাটোর নেতাদের সাহসের অভাব থাকে, তাহলে ভিলিনাস সম্মেলনে আমাদের প্রেসিডেন্ট যাবেন না। কারণ সেক্ষেত্রে তার এই সফর পুরোপুরি অর্থহীন।”
২০১৪ সালে রাশিয়ার কাছে ক্রিমিয়ার দখল হারানোর পর থেকেই ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। এ পর্যন্ত কয়েকবার জোটের সদস্যপদের জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন জানিয়েছে ইউক্রেন; সর্বশেষ আবেদন জানিয়েছে গত বছর অক্টোবরে, রুশ বাহিনীর কাছে ডোনেটস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া এবং খেরসনের কর্তৃত্ব ও দখল হারানোর পর। সূত্র: রয়টার্স