রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:২১ অপরাহ্ন
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

ডুমুরিয়ায় প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

Reporter Name
Update : রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫, ২:৩৩ অপরাহ্ন
Oplus_131072

খুলনা ব্যুরো ঃ ডুমুরিয়া উপজেলার শাহপুর পাড়ইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুনাম পুনরুদ্ধারে অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রধান শিক্ষক লীলাবতী দেওয়ানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ১০টায় এলাকাবাসীর আয়োজনে বিদ্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এলাকার সচেতনমহল, অভিভাবক ও বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক লীলাবতী দেওযান একজন বিতর্কিত শিক্ষক। শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি সৃষ্টির কারণে শিক্ষার মান নি¤œমুখি হচ্ছে। নোট গাইট কোম্পানির সাথে চুক্তি করে তাদের বই কিনতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করছেন। বক্তারা আরও বলেন, তিনি নিয়ম কানুন মেনে বিদ্যালয়ে আসেন না। এলেও খুব দ্রুত চলে যান। প্রধান শিক্ষকের পৃষ্ঠপোষকতায় শিশুদের বাঁশের কঞ্চি দিয়ে শাস্তি দেয়াসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। এ বিষয়ে এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষককে বারবার অবগত করার পরও তিনি তার কোনো তোয়াক্বা করেননি বলে উল্লেখ করেন।
পিটিএ’র সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান গাজীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রঘুনাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আঃ রব আকুঞ্জী, ইউপি সদস্য আল আমিন বিশ্বাস, বিএনপি নেতা সরদার আল আমিন, শাহপুর বাজার কমিটির সভাপতি একেএম জাফর ইকবাল, সম্পাদক আতিকুর রহমান মিলন, জামায়াত নেতা মাও আঃ মান্নান, মহিলা মেম্বার শাহিনুর বেগম, সমারেশ কুমার ম-ল, সরদার আক্তার হোসেন, আলহাজ রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ডাবলু, আছিয়া খাতুন প্রমুখ।
ঐ বিদ্যালয়ে সিনিয়র শিক্ষক আয়াত আলী শেখ বলেন, আজ প্রধান শিক্ষক ছুটিতে আছেন। তিনি খেয়াল খুশিমত চলেন। শিক্ষকদের মূল্যায়ন করেননা। এলাকাবাসীর অভিযোগ যথার্থ বলে মনে করছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লীলাবতী দেওয়ান বলেন, আমি আজ ছুটিতে আছি। দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র আমার সুনাম বিনষ্ট করতে অহেতুক মিথ্যা অভিযোগ করে আসছেন, যার জের ধরে রোববার (১০ আগস্ট) আমার বিরুদ্ধে মানবন্ধন করেছেন। এর কোনটিরই ভিত্তি নেই। তিনি আরো বলেন, আমি সহকারী শিক্ষক হিসেবে ২০১৬ সালে এবং ২০২৪ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি। কিন্তু একটি পক্ষ আমাকে মেনে নিতে পারছেননা। তাই ষঢ়যন্ত্র করছেন। দুইজন শিক্ষক এলাকাবাসীর সাথে যোগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন।
খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহিদুল আলম বলেন, প্রধান শিক্ষক লীলাবতীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটিও করে দিয়েছি। তদন্তের প্রমাণিত হলে আইনি ব্যবস্থা নিব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host