সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঝুঁকিতে আছে সারুটিয়া ইউনিয়নের বড়ুরিয়া, কৃষ্ণনগর, হাকিমপুর ইউনিয়নের মাদলা, খুলুমবাড়িয়া, ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কাশিনাথপুর, মাজদিয়া, উলুবাড়িয়া, নতুনভুক্ত মালিথিয়া ও লাঙ্গলবাঁধ বাজার। দীর্ঘদিন ধরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সংস্কার না হওয়ায় ফাটল ধরে তা নদীর্তে বিলীন হয়ে গেছে। যার ফলে হুমকিতে পড়েছে এসব এলাকার অনেক ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন ফসলি জমি। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে একে একে গড়াই নদীভাঙনের কবলে পড়ে বদলে গেছে উপজেলার তিন ইউনিয়নের বড় একটি অংশের চিত্র। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বড়ুরিয়া- কৃষ্ণনগর, খুলুমবাড়ি, মাদলা, কাশিনাথপুর ও লাঙ্গলবাঁধ। বেশকিছু জায়গায় বড় বড় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এ বছর বর্ষা আসতে না আসতেই আবার দেখা দিয়েছে গড়াই নদীভাঙনের ভয়াল রূপ। নদীগর্ভে ভিটেমাটি চাষাবাদের জমি ও সহায়সম্বল হারানো গৃহহীনরা স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে নদীভাঙন রুখতে সরকারের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন।
মাদলা গ্রামের জেহের আলী বলেন, শুষ্ক মৌসুমেও গড়াই নদীর তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এখনই কোনো স্থায়ী পদক্ষেপ না নিলে আমাদের বাড়িসহ অনেক বাড়ি ফসলি জমি যে কোন সময় নদীতে বিলীন হতে পারে। আমরা খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছি। সহায়সম্বল হারানো বড়ুলিয়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম বলেন, এবার শুষ্ক মৌসুমে ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রতিবছর কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হয় নদীতে, তবে তা কাজে আসছে না। আমরা স্থায়ী বাধ নির্মাণের মাধ্যমে এর স্থায়ী সমাধান চাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস বলেন, আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে জেলা পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করব। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস জানান, আমরা গড়াই নদী নিয়ে কাজ করছি। আমি অতি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।