খুলনা প্রতিনিধি: খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে ডুমুরিয়া ফায়ার সার্ভিসের সামনে শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত এবং ২২ আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়; সাতক্ষীরাগামী একটি বাস (খুলনা মেট্রো জ-০৭-০০-৯৯) এর চাকা পানচার হলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি প্রাইভেটকারের (ঢাকা মেট্রো গ- ৩৯-৩৬৬৯) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবাহী বাসটি খাদে উল্টে যায়। প্রচণ্ড শব্দ এবং অসহায় যাত্রীদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং উদ্ধার কাজ শুরু করেন। দুর্ঘটনার খবর শুনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এবং পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার কাজে অংশ নেন। ঘটনাস্থলে লাশ দেখে ও আহতদের আহাজারিতে জনগন বাকরুদ্ধ হয়ে যান।
ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়; বাসের যাত্রী মাদারিপুর জেলার হুমায়ূন কবিরের স্ত্রী বেবি বেগম (৫০), বাসের হেলপার ঢুকনগর এলাকার সবুজ (২০) সন্ধ্যায় খুমেক হাসপাতালে মারা যান এবং প্রাইভেটকারের ড্রাইভার (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ড্রাইভারের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের ডুমু্রিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে খুলনার শাহেদ হাসান (৪০), খুলনার নতুন রাস্তা এলাকার তুহিন (১৬), মদনপুর ভেরচি এলাকার রাবেয়া(৫০) ও হিরা (৩০), বাগেরহাট জেলার রামপাল এলাকার সবুজ কুমার দাস (৩৫), মোংলার আবু হাসান (২৫), সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়ার বাসিন্দা সুলতানা পারভীন (৪৫) ও জেসিমা কবীর (৩০), খুলনা কুয়েট রোডের তেলিগাতির বাসিন্দা আহাদ গাজী (১২), খুলনার খালিশপুরের বাবুল শরীফ (৫০), সাতক্ষীরা জেলার কালিকাপুর এলাকার উম্মে সালমা (২৩) ও আনোয়ারা (৫০), সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা এলাকার আমেনা বেগম (৫০), যশোর জেলার মুড়লী এলাকার নূর ইসলাম (৫২), সাতক্ষীরা টাউন বাজারের বাসিন্দা রিজিয়া বেগম (৫০) খুলনার সোনাডাঙ্গার জাহাঙ্গীর আলম (৫৫)কে ডুমুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়ার সুলতানা পারভীন (৪৫) এবং জেসিমা কবীরকে আশংকাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। আহত যাত্রীরা জানান; বাসটি বেপরোয়া গতিতে চালানোর কারণেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।