বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

খুমেক হাসপাতালে কর্মবিরতি ও ধর্মঘট অব্যাহত, গ্রেপ্তার ২

Reporter Name
Update : শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৩, ১০:২৭ পূর্বাহ্ন

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এছাড়া একই দাবিতে ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছে হাসপাতালের সামনের ওষুধের দোকানিরাও। এতে রোগী ও তাদের স্বজনদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় খুলনা মেডিকেল কলেজের সচিব মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে বুধবার (১৬ আগস্ট) রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয়ে ৫০ জন ওষুধের দোকানিকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে খালিশপুর থানার ৪১/১, বয়রা জংশন রোড এলাকার মৃত শেখ শাহাজাহানের ছেলে ও বিপ্লব ফার্মেসির মালিক মাহমুদুর রহমান বিপ্লব (৩০) এবং সোনাডাঙ্গা থানার হাসানবাগ এলাকার ছোট বয়রার মীর বাড়ির মোশারেফ মীরের ছেলে ও আবিদ ফার্মেসির কর্মচারী মীর বায়েজিদ (২০) কে গ্রেফতার করেছে।খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছে খুমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পরিষদের সভাপতি ডা. সাইফুল ইসলাম অন্তর। তিনি জানান, হামলায় তাদের ১৪ থেকে ১৫ জন আহত হন। হামলাকারীদের গ্রেফতারসহ তিন দফা দাবিতে ২য় দিনের মতো ক্লাস বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করে।
অন্যদিকে সংঘর্ষের পর থেকে বন্ধ রয়েছে খুলনা মেডিকেলের সামনে ওষুধের ৯০টি দোকান। দোকানীদের ওপর হামলাকারী মেডিকেল শিক্ষার্থীরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির খুলনা শাখা।সমিতির সহ-সভাপতি এসএম কবীর উদ্দিন বাবলু বলেন, হামলায় তাদের ১০ থেকে ১২ দোকান মালিক ও কর্মচারী আহত হয়েছিল। রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, দুই পক্ষের বিরোধের বলি হচ্ছেন তারা। সোমবার রাত থেকে রোগী দেখছেন না ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। আগে দিনে ২ থেকে ৩ বার রোগী দেখতেন তারা। আর মেডিকেলের সামনের দোকান বন্ধ থাকায় রোগীর স্বজনদের ওষুধ কিনতে যেতে হচ্ছে দূরদূরান্তে। এতে অতিরিক্ত সময় লাগার পাশাপাশি ব্যয় হচ্ছে বাড়তি টাকা।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রবিউল হোসেন জানান, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী শিগগিরই হাসপাতালে মডেল ফার্মেসি চালু করা হবে। হামলাকারীদের গ্রেফতার ও হাসপাতালের মধ্যে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সাউথ) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাসপাতালের সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বুধবার রাতে হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতালে যান। তারা হামলাকারীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন। উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে খুলনা মেডিকেলের সামনে বিপ্লব মেডিসিন কর্নারে ওষুধ কিনতে যান মেডিকেলের শিক্ষার্থী হাসান ফেরদৌস। দোকানি এক পাতা ওষুধের দাম ৭০ টাকা জানালে হাসান ফেরদৌস ১০ শতাংশ কমিশন বাদ দেয়ার অনুরোধ জানায়। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে দোকান মালিক বিপ্লব তাকে অপমান করেন। এরপর ওই শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে গিয়ে জানালে অন্য শিক্ষার্থীরা ওই দোকানে যায়। তখন বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ওষুধের দোকানীদের সঙ্গে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host