কুষ্টিয়ায় ফুটপাতে লুঙ্গি গামছা বিক্রেতা বাবলু ফারাজি হত্যার ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালসহ ১২৬ জনের নাম উল্লেখ করে আদালত মামলা হয়েছে। এতে ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে নিহত বাবলুর ছেলে সুজন মাহমুদ বাদী হয়ে কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলী আদালতে এ মামলা করেন। শুনানি শেষে আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে নির্দেশনা দিয়েছেন।
আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালতের দায়িত্বরত পেশকার মতিয়ার হোসেন।
মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল,কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এন্ড অবস্) পলাশ কান্তি নাথ,কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি মাহফুজুল হক চৌধুরী,ওসি(তদন্ত) দিপেন্দ্র নাথ সিংহ,এস আই সাহেব আলী,এএসআই আসাদুজ্জামান আসাদ,উজ্জল হোসেন,মোস্তাফিজুর রহমান,আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগ সদর উদ্দিন খান সভাপতি সহ হাজী রবিউল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগ আজগার আলী সভাপতি শহর আওয়ামীলীগ তাইজাল আলী খান সাধারণ সম্পাদক শহর আওয়ামীলীগ আতাউর রহমান আতা সাবেক সংসদ সদস্য ভেড়ামারা মিরপুর কামারুল আরেফিন, খোকসা কুমারখালী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ অজয় সুরেখা সহ ১২৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
নিহতের ছেলে সুজন মাহমুদের দায়ের করা মামলায় জানা গেছে,৫৮ বছর বয়সী বাবলু ফারাজি ফুটপাতে লুঙ্গি,গামছা ও বিছানার চাদর বিক্রয় করতেন।
গত ৫ আগষ্ট বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে শহরের চার রাস্তার মোড়ে অসহযোগ আন্দোলনকারী ও আসামীদের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যায়। তখন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে ও ২ থেকে ২২নং আসামীর হুকুমে অন্যান্য আসামীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপর হামলা চালায়। এ সময় বাবলু ফারাজিকে আন্দোলনকারী ভেবে কুষ্টিয়া মডেল থানায় এস আই সাহেব আলী আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার শহীদ আবু সরোয়ার বলেন একটি মামলা হয়েছে জানতে পেরেছি। তবে আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছে কিনা এ বিষয়ে এখনো কোন কাগজ হাতে পাইনি।