কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ জমিজমা বিরোধের জের ধরে চাচা ক্ষুব্ধ হয়ে আপন ভাতিজাকে পাখি মারা বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। গুরুতর আহত ভাতিজা শাহিনকে উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিক অপারেশনের মাধ্যমে তার মাথা থেকে একটি বুলেট বের করে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে, গত শুক্রবার (২১ জুলাই) সকাল সাতটায় কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌর সভার খাওনার দরগা গ্রামে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঐদিন সকালবেলা বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে চাচা- ভাতিজা ও বিধবা ভাবীর সাথে বচসা হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সকাল সাতটার দিকে ক্ষুব্ধ চাচা আব্দুল হাকিম ঘরে ঢুকে হত্যার উদ্দেশ্যে জানালা দিয়ে তার নিজস্ব পাখি মারা বন্দুক (এয়ার গান) তাক করে ভাতিজা ও ভাবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় ভাতিজা শাহীন আলম গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে । তাকে স্থানীয় লোকজন দ্রুত উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তার ডানকানের উপরে মাথা থেকে অপারেশনের মাধ্যমে একটি বুলেট বের করে।
আহত শাহিন আলমের ছোট ভাই সাকিব জানান, ঘটনার সময় তার মা এবং ভাই শাহিন আলমসহ তিন জন বাড়ির আঙ্গিনায় অবস্থান করছিলেন। এভাবে তাদের উপর হঠাৎ করে চাচা গুলিবর্ষণ করবে এটা কখনো কল্পনা করেনি। মা সহ আমি অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। শাকিব আরো বলেন, তার বাবার মৃত্যুর কিছুদিন পর থেকে চাচা হাকিম প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে আসছিল তাদের বাবার রেখে যাওয়া পৈত্রিক ভিটা দখলে নিতে প্রয়োজনে তাদের মেরে ফেলবে”।গুলিবর্ষণের এ ঘটনা তারই প্রমাণ।
এদিকে আহত শাহিন আলমের বিধবা মা সাহিদা বেগম নিজে বাদী হয়ে আব্দুল হাকিমকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে গুলিবর্ষন করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে উলিপুর থানায় মামলা করেন।
এ রিপোর্ট লেখার পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনি। অপরদিকে আপন ভাতিজাকে গুলি করে হত্যা-চেষ্টা ঘটনায় ঐ গ্রামের সাধারন মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মর্তুজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।