কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ কয়রা সদর ইউনিয়নের ২নং কয়রা গ্রামে ঘেরের মাছ লুট ও জমি থেকে ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের বড়বাড়ী গ্রামের শফিকুল ইসলামের পুত্র মোঃ জহুরুল ইসলাম। বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় কয়রা উপজেলা প্রেস ক্লাবের উপস্থিতি হয়ে সংবাদ সম্মেললের মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, কযরা সদর ইউনিয়নের ২নং কয়রা গ্রামের কালাম সরদার (৫০) সালাম সরদার (৪৫) মারুফ বিল্লাহ (২৬) মহিবুল্লাহ (২৩), মাসুমা খাতুন (৪৫),সহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জন আমার মৎস্য ঘেরের মাছ লুটপাট করে নেওয়ার পাশাপাশি চাষকৃত জমির ধান কেটে নিয়েছে। এ ব্যাপারে আমি তাদের বিরুদ্ধে কয়রা থানায় মামলা দায়ের করেছি। মামলার আসামীদের দ্রুত হেফতার পুর্বক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আমার পিতা শফিকুল ইসলাম গাজী কয়রা থানাধীন কয়রা মৌজার এস.এ ১৬৪ ও ৮৮১ নং খতিয়ানে ১.২৬৫১ একর জমি মূল মালিকের নিকট হতে বহু বছর পূর্বে জমি ক্রয় করে। সেই জমিতে সীমানা নিধারণ করার পর ঘেরা বেড়া দিয়ে বসত বাড়িঘর নির্মাণ করার পাশাপাশি কিছু জমিতে মিষ্টি পানির মৎস্য ঘের ও ধান্ চাষ করে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসিতেছি। এমতাবস্থায় তারা আমার মৎস্য ঘেরের জমি জবর দখল করার জন্য দীর্ঘদিন যাবত হুমকি ধামকি সহ বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিসাধন করে আসিতেছে। তারই রেশ ধরে গত ১৬ এপ্রিল সকাল ৮ টার দিকে উল্লেখিত নামধারী ব্যাক্তিরা সহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন আমার উক্ত মৎস্য ঘেরে প্রবেশ করে মৎস্য ঘেরের আইল সীমানা কোদাল দিয়া কেটে ভাংচুর করে ক্ষতি করে। এ ছাড়া পুকুরের মাছ মেরে নেওয়ার পাশাপাশি ধান কেটে নিয়ে আনুমানিক ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। বিষয়টি জানতে পেরে আমি বাধা প্রদান করলে তারা আমাকে মারপিট করে জখম করে। শুধু তাই নয় আমার পরিবারের লোকজনদের মারপিট করে স্বর্ণ অংলঙ্কার কেড়ে নেয়। স্থানীয়রা সেখান থেকে আমাকে ও আমার বোন আয়েশাকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। চিকিৎসা শেষে বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা দায়ের করি। মামলা দায়ের করার পর আসামিরা বিভিন্নভাবে ক্ষতিসাধন করার জন্য হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে আমরা তাদের হুমকি ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ব্যাপারে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।