কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ কয়রায় মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার ২ নং কয়রা গ্রামের মোঃ শেহের আলী ঢালীর কন্যা রাবেয়া আক্তার। গতকাল সোমবার বেলা ১১ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর কয়রা সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে কোহিনূর আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে যে সকল অভিযোগ করেছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা, ভিত্তীহিন ও বানোয়াট। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্য তিনি মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে। প্রকৃত ঘটনা হলো যে, গত ১ ফেব্রুয়ারী রাতে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে ১নং কয়রা গ্রামের শফিকুল কুপ্রস্তাব দেয়। আমি তার প্রস্তাবের প্রতিবাদ জানাই। তারপরেও সে আমাকে জোরপুর্বক ধর্ষন করে। আর তাকে সহযোগিতা করে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান। এ ব্যাপারে আমি বাদী হয়ে কয়রা থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করি। ঐ মামলায় শফিকুল ইসলাম ১নং আসামী ও ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানকে ২নং আসামী করা হয় । বর্তমানে মামলাটি তদন্তহীন রয়েছে। মামলার পর ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করার চেষ্টা করে এবং হুমকি ধামকি অব্যাহত রাখে। এ ছাড়া সে আমার মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রকে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি তাকে ক্ষতি করার চেষ্টা করে। আমি নিরুপায় হয়ে তার বিরুদ্ধে গত ১৭ সেপ্টেম্বর কয়রা থানায় একটি জিডি করি। এমতাবস্থায় গত ২০ সেপ্টেম্বর আমি কয়রা বাজারে গেলে সে আমাকে দেখে গালিগালাজ করলে তাতে আমি প্রতিবাদ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিজানুর রহমান সহ আরও অনেকে আমাকে মারপিট করে আহত করে। ঐ ঘটনায় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান সহ আরও কয়জনকে আসামী করে গত ২৭ সেপ্টেম্বর কয়রা উপজেলার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলার পর থেকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেওয়ার পাশাপাশি মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানী করার চেষ্টা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য সে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে রাবেয়া আক্তার আরও বলেন, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীর অভিযোগ রয়েছে। আমি বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সংবাদ সম্মেলন মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনাটি উৎঘাটন করে ব্যাবস্থা গ্রহন ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।