আমাকে ঔচিত্যবোধ তুমি কীভাবে শেখাবে?
যখন বোধ বাঁধা পড়ে কোনোখানে,
স্ববিরোধিতার যাতনাগুলো
নিয়ত দগ্ধ করে আমাকে,
এই ঊষরকালে মায়াবী পেলবতা নেই,
ত্যাগ নেই, প্রথাবদ্ধতার অজুহাতে।
বয়সীরা দীর্ঘ নয়– কেবল খর্বকায়,
উহ্ কী দুঃসহ উষ্ণতা
চারিদিকে, প্রথাগত পরিসরে,
বিবেকের নৈঃশব্দ জাগরণে,
ঈর্ষার চেরা জিহ্বা
নগ্ন শিশ্নের মতো কদর্য
লজ্জার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসা
বন্যপ্রাণীর জীবাশ্ম।
তবু এই পরিসরহীন সীমানায়
স্নাত হই, সমঝোতার গ্লানি পান করি আকণ্ঠ
উপদেশের বিছানো আঙিনায়
এখনো শব্দগুলো কুরে খাই
বুভুক্ষুর মতো।
তপন রায়,অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়