ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গায় ইতালি প্রবাসী কাজী আমির মোঃ রিন্টু ওরফে দোদুলকে ষড়যন্ত্র করে নিঃসংশ ভাবে কুপিয়ে হত্যা এবং তাঁর মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নাবালক ছেলে রিফাত হোসেনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের ছোট ভাই কামাল উদ্দিন।
শনিবার সকালে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে করা হয়। সেসময় লিখিত বক্তব্যে মোঃ কামাল উদ্দিন বলেন, “আমার ভাই কাজী আমির মোঃ রিন্টু দীর্ঘ ২০ বছর ইতালিতে অবস্থান করছিলেন। তিনি তাঁর আয়ের অধিকাংশ টাকা শ্বশুর ও শ্যালকের হাতে পাঠাতেন। শ্বশুর অনিকুল ইসলাম কবির ও শ্যালক রাসেল হোসেন মিলে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।”
তিনি আরও বলেন, “দেশে ফেরার পর রিন্টু টাকা-পয়সার হিসাব চাইলে শ্বশুরপক্ষের সাথে তাঁর বিরোধের সৃষ্টি হয়। একই সাথে স্ত্রীর পরকীয়ার সম্পর্কের বিষয় জানতে পারায় পারিবারিক কলহ চরমে ওঠে। পরবর্তীতে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে রিন্টু কুষ্টিয়া শহরে ভাড়া বাসায় অবস্থান করলেও, পুনরায় চুয়াডাঙ্গার নিজ বাড়িতে ফেরার পর তাঁর জীবন হুমকির মুখে পড়ে।”
কামাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, গেল ২২ মার্চ রাতে পরিকল্পিতভাবে রিন্টুকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে তাঁর স্ত্রী রত্না খাতুন, শ্বশুর অনিকুল ইসলাম কবির ও শ্যালক রাসেল হোসেনের হাত রয়েছে। হত্যার আলামত নষ্ট করতে বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুরও করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হত্যার পর ষড়যন্ত্রকারীরা মামলা সাজাতে রিন্টুর মেয়ে জারিন ইয়াসমিন রিতুর মাধ্যমে রিন্টুর ছেলে কেএম রিফাতের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করান। বর্তমানে রিফাত যশোরের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে আটক রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কামাল উদ্দিন প্রকৃত হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে রিফাতের মুক্তির জোর দাবি জানান তিনি। তিনি এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করে বিচার নিশ্চিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।