সুজন হোসেন রিফাত ,মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরের কালকিনিতে এক ইউপি চেয়ারম্যানের দাপটে দুইমাস ধরে বাড়িছাড়া অর্শশত পরিবার। (২৬ নভেম্বর) মঙ্গলবার সকালে মাদারীপুর শহরের একটি সাংবাদিক অফিসে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের পক্ষে বিষয়টি তুলে ধরেন কৃষক নজরুল ইসলাম।
লিখিত ও মৌখিক অভিযোগে নজরুল ইসলাম জানান, কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিন বাঁশগাড়ি নয়াকান্দি গ্রামের মৃত রফিজ উদ্দিন শিকদারের ছেলে নজরুল ইসলাম কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এলাকার আধিপত্য নিয়ে দুইমাস আগে বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের সাথে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আকতার শিকদারের লোকজনের সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এরইজেরে সুমনের ছত্রছায়ায় মহিউদ্দিন লাটু বেপারী, আমিনুল মৃধা, নিজাম আকন, আলী সরদারসহ বেশকিছু সহযোগি ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আকতার শিকদারের লোকজনের উপর হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন কুলকিনারা পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার। পরে গত ১১ সেপ্টম্বর ইউপি চেয়ারম্যার মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের লোকজন একযোগে কৃষক নজরুল ইসলামসহ অর্ধশত পরিবারের উপর ফের হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর চালায়। পরে ভুক্তভোগীরা বাধ্য হয়ে আদালতে ৪টি মামলা দায়ের করেন। মামলাগুলো বর্তমানে কালকিনি থানা পুলিশের কাছে তদন্তাধীন। ঘটনার পর এলাকাছাড়া অসহায় পরিবারগুলো। ন্যায় বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীরা। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।
মাদারীপুরের কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের লোকজন এলাকার মানুষদের উপর হামলা ও নির্যাতন করেছে এমন খবরে একাধিকবার পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ভুক্তভোগী কয়েকজন আদালতে মামলাও করেছেন। মামলাগুলো পুলিশ তদন্ত করছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।