নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কখনো মাইকিং করে কখনো গ্রামে গ্রামে খবর পাঠিয়ে ইউনিয়নের সেবা গ্রহিতাদের জানিয়ে দেন আবার বয়স্ক ভাতা, বিধাব ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ সকল ভাতা ও সুবিধার কথা মানুষকে জানানোর চেষ্টা করেন। সেবা প্রত্যাশী জনগণকে ইউনিয়ন পরিষদে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় থাকতে হয় না। জনগণের কাংখিত সেবা দিতে নিয়মিত অফিস করেন হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ৪নং দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। বাড়িতে বা হাটে-বাজারে খুজতে হয়না চেয়ারম্যানকে।
সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদেই অপেক্ষা করেন চেয়ারম্যান। নিজ ইউনিয়ন পরিষদে সেবা প্রত্যাশী জনগণের হয়রানি রোধে বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন তরুন এই চেয়ারম্যান। নাগরিক সনদপত্র, প্রত্যায়নপত্র, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, ওয়ারিশ সার্টিফিকেট, ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ই-সেবা প্রদান, ভাতা গ্রহিতাদের বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
এসব সেবা প্রদানে চেয়ারম্যান বা তার লোকজনকে কোনো টাকা দিতে হয়না। উল্টো যিনি আসেন, তাকেই নিজের টাকায় এককাপ চা খাইয়ে সেবা নিশ্চিত করেন।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের প্রতি এমনই সন্তোষ্টি প্রকাশ করেছেন আসছেন ইউনিয়নবাসী ।
জনবান্ধব একজন চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের এমন মন্তব্যে ইউনিয়নের বাসিন্দারা বলেন, প্রতিদিনই তিনি ইউনিয়ন পরিষদে নিজ কার্যালয়ে বসে থাকেন। সারাদিন তিনি অন্ততপক্ষে তাকে দুএকশ লোকের সেবা দিয়ে থাকেন। কারো প্রতি বিরক্ত প্রকাশ করেন না। বরং সেবা গ্রহিতাদের সন্তষ্ট অর্জণ করে বিদায় দেন। কাজের সচ্ছতা ও ডিজিটাল সেবায় নাগরিক হয়রানি রোধে তিনি কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছেন। এতে তারা বর্তমান চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন মাতৃত্বকালীন প্রসুতী মায়েদের ভাতা কার্যক্রম ই-সেবা কেন্দ্র থেকে প্রস্তুত করা হয়, এনিয়ে কিছু সমালোচনা এসছে, যদি কোন উদ্যোক্তা কোন সেবা গ্রহীতার নিকট থেকে কোন অনৈতিক অর্থ নিয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয় হবে। তিনি আরও বলেন একটি কুচক্রি মহল আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য নির্বাচনের পর থেকেই সক্রিয় রয়েছে, তারা প্রায়ই আমার বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। আমি এসবের পাত্তা দেয়না, আমি জনগণের সেবক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি দায়িত্বের শেষ দিন পর্যন্ত সেবা দিয়ে যাব। তিনি আরও বলেন আমি ইউনিয়নে গণ শোনানী করব আমার বিরুদ্ধে যদি আরও অভিযোগ থাকে তাহলে সেটা আমলে নিব সংশোধন হওয়ার চেষ্টা করবো। এছাড়া আমার পরিষদের সাথে সংশ্লিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা গ্রহন করবো, আমি না পারলে ইউএনও মহোদয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহযোগীতা নিয়ে ইউনিয়নকে একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহি সেবা মূলক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করবো। পাশাপাশি জসবান্ধব সরকারের দেওয়া নির্দেশনা ও প্রজ্ঞাপন যথাযথ ভাবে পালন করে যাব।
চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন আমি নির্বাচনের আগেই ওয়াদা করেছি, জনগণের হয়রানি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ক্ষমতার সেই দিন পর্যন্ত সেই ওয়াদা আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করবো।