বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৫ অপরাহ্ন
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

ইংল্যান্ডে শিক্ষকরা ফের ধর্মঘটে

Reporter Name
Update : শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০২৩, ৭:১০ অপরাহ্ন

ইংল্যান্ডজুড়ে আবারও ধর্মঘট পালন করছেন স্কুল শিক্ষকরা। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শুক্রবার (৭ জুলাই) সকাল থেকে শুরু হয়েছে এই ধর্মঘট। চলতি সপ্তাহে এটা তাদের দ্বিতীয় ধর্মঘট। এর ফলে দেশজুড়ে হাজার হাজার স্কুলের কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে।এর আগে গত বুধবার (৫ জুলাই) ধর্মঘট পালন করেন ইংল্যান্ডের শিক্ষকরা। শিক্ষক নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, সমস্যার সমাধানে সরকার শিগগিরই কোনো চুক্তিতে না পৌঁছালে অনির্দিষ্টকালের জন্য অব্যাহত থাকতে পারে ধর্মঘট।

যুক্তরাজ্যে বহুদিন ধরেই সরকারি স্কুল শিক্ষকদের মধ্যে বেতন ও ভাতা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ রয়েছে। সেই ক্ষোভ সম্প্রতি বিক্ষোভ-প্রতিবাদে রূপ নিয়েছে।
 
চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রথম ধর্মঘটের ডাক দেন শিক্ষকদের সংগঠন ন্যাশনাল এডুকেশন ইউনিয়ন (এনইইউ)। প্রায় তিন লাখ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী এই ধর্মঘটে সমর্থন দেন।
 
গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে  এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকবার ধর্মঘট পালিত হয়েছে। সবশেষ ৫ ও ৭ জুলাই জাতীয় ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। স্কাই নিউজের প্রতিবেদন মতে, ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার (৫ জুলাই) ইংল্যান্ডজুড়ে ধর্মঘট পালন করা হয়। এদিন দেশজুড়ে বহু স্কুল সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। একদিন পর শুক্রবারও শুরু হয় ধর্মঘট। 
 
সরকারের কেউ কেউ শিক্ষকদের এই ধর্মঘটের সমালোচনা করছেন। তারা বলছেন, ধর্মঘটের কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসফর, খেলাধুলা ও অন্যান্য কর্মকাণ্ড ব্যহত হচ্ছে। তবে শিক্ষক নেতারা বলছেন, সরকার চাইলেই এই উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির সময়ে বেতন বাড়িয়ে শিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়ে খুব সহজেই এই সমস্যার অবসান ঘটাতে পারে।
 
সরকার এর আগে শিক্ষকদের ১ হাজার পাউন্ড এককালীন নগদ অর্থ প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া বেতন বাড়ানো হয়েছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। ইউনিয়নগুলো সরকারের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পরে আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়।
 
শিক্ষক নেতা ও এনইইউ’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কেভিন কোর্টনি বলেছেন, কোনো শিক্ষক ধর্মঘটের মতো কঠোর পদক্ষেপ নিতে চান না এবং এই সপ্তাহের ধর্মঘটেরও প্রয়োজন ছিল না।
 
তার কথায়, এর দায়ভার প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর ওপর বর্তায়, যারা শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে একটি নিষ্পত্তিতে পৌঁছানোর জন্য ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনায় বসতে অস্বীকার করছেন।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host