মোঃ গোলাপ মিয়া লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি: লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জাল দলিল করার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব- রেজিস্ট্রার রাশিদুজ্জামান ও অফিস সহকারী বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে জমি শ্রেণী পরিবর্তন দানপত্র দলিল হেবা ঘোষণা দলিলে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে অফিস সহায়ক বেলাল হোসেনের সহযোগিতা জমি রেজিষ্ট্রি করেন সাব-রেজিস্ট্রার।
ইতিমধ্যেই গত ২০২৩ সালে একটি জাল দলিল যাহার নং ৬৫৯ দাতা জমিলা খাতুন ৬৭ শতাংশ জমি অফিস সহায়ক বেলাল ও দলিল লেখক হাবিবুর রহমান ওরফে শাহিন ও সাব রেজিস্ট্রার রাশেদুজ্জামান মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে দলিল রেজিস্ট্রি করেন। দলিল লেখকের লাইসেন্স নং৩/১৫ জাল দলিলের বিষয়টি উপজেলার মধ্যে জানাজানি হলে দলিল লেখক সমিতি একলক্ষ টাকা বিনিময়ে রফাদফা করেন দলিল লেখক সমিতির ও সাব রেজিস্ট্রার ইতিমধ্যেই বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে ফেলেছে। দীর্ঘদিন ধরে আদিতমারী উপজেলায় নিয়মিত সাব রেজিস্ট্রার না থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন কালীগঞ্জ উপজেলার সাব- রেজিস্ট্রার রাশেদুজ্জামান তিনি সপ্তাহে মঙ্গলবার একদিন অফিস করেন আদিতমারী উপজেলার সাব -রেজিস্ট্রার অফিসে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার এবং অফিস সহায়ক বেলাল হোসেন মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিজেই দলিল চেক করতে দেখা যায় সরজমিনে অত্র অফিসে গিয়ে দেখা যায় দলিল লেখক গন প্রথমে অফিস সহায়ক বেলালের কাছে দলিল জমা দেয় তখন উক্ত দলিলটি চেক করেন অফিস সহায়ক বেলাল হোসেন পরে সাব -রেজিস্ট্রার এর কাছে দলিলটি প্রেরণ করেন পরবর্তীতে সাব- রেজিস্ট্রার জমি রেজিস্ট্রির কাজ সম্পন্ন করেন।
জাল দলিলের বিষয়ে সাব -রেজিস্ট্রার রাশেদুজ্জামান সাথে কথা বলা হলে জাল দলিলের বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। অফিস সহায়ক বেলাল হোসেন এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন বিষয়টি মীমাংস হয়ে গেছে উক্ত দলিল থেকে রাজস্ব আদায় করে ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশ না করা অনিচ্ছুক কয়েকজন দলিল লেখক জানায়২০২৩ সালের রেজিস্টিকৃত দলিল২০ ২৪ সালের কিভাবে রাজস্ব আদায় দেখায় বিষয়টি সম্পন্ন অবৈধ বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সরজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবী জানিয়েছে সচেতন মহল ।
দলিল চেক করছেন অফিস সহায়ক বেলাল হোসেন