মোঃ গোলাপ মিয়া ষ্টাফ রিপোর্টার লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের উওর গোবধা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে নিহত হয়েছেন মৃত্যু আছিয়া খাতুন। নিহত ছেলে জলিল মিয়া কে প্রতিপক্ষের লাঠি আঘাত হতে রক্ষা করতে নিজে বুক পেতে দিয়ে ঘটনার স্থানে নিহত হয়েছেন আছিয়া খাতুন। হত্যা সাথে জড়িত ১৭ জন কে আসামি করে আদিতমারী থানা একটি হত্যা মামলায় দায়ের করেন মৃত্যু আছিয়া খাতুন এর পুত্র জলিল মিয়া, আছিয়া খাতুনের হত্যা মামলার আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে নিজ বাড়িতে (২৮ শে সেপ্টেম্বর দুপুর ২ ঘটিকার সময়) পরিবারের লোকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে করেছে পুত্র জলিল মিয়া।

সেই হত্যা মামলার আসামি জামিন পেয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে সেই সাথে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ঘটনার দিন লালমনিরহাটের আকাশ যেন আরও একটু ভারী। আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবধা গ্রামে যা ঘটল, তা শুধুই একটি ‘সংঘর্ষ’ বা ‘হত্যা’ নয়—এ ছিল এক মায়ের শেষ আত্মদান, এক সন্তানের জন্য প্রাণপণ ছুটে যাওয়া। ৮৫ বছরের আছিয়া খাতুনের নিজের শেষ শক্তি টুকু যোগান করে ছুটে এসেছিল তার সন্তান জলিল কে বাঁচাতে প্রতিপক্ষের হাতে যখন লাঠির আঘাতে ছেলেটির জর্জরিত তখন মা আরো বসে থাকতে পারেনি। তিনিও এসেছেন দাঁড়িয়েছিলেন ছেলে পাশে বুক পেতে দিয়েছিলেন সেই প্রতিপক্ষের লাঠি আঘাতে সবকিছু নিস্তব্ধ হয়ে যায়। জমির পরিমাণ ছিল মাত্র ৭৪ শতাংশ জলিলে দখলে ছিল মাত্র দশ শতাংশ যেটুকু তিনি মাথা গোঁজার ঠাঁই করেছিলেন যুগযুগ ধরে আদালত, বৈঠক, সমঝোতা সবই হয়েছিল, কিন্তু স্থানীয় ভাবে হয়নি কোন সমাধান হত্যাকারীরা মতিয়ার গংদের দাবি ছিল তাদের অন্যাত্র জমি কিনে দেওয়া হবে। কিন্তু বসতভিটা তো শুধু মাটি নয় সেখানে ছিল স্মৃতি সেখানে ছিল সংসার , সেই উওর গোবধা স্থানীয় প্রভাবশালী মতিয়ার গং সেই জমিতে হাল চাষ শুরু করে তখন জলিল ও তার ছেলেদের নিয়ে বাধা দেয় এ সময় উত্তেজনা চরমে ওঠে শুরু হয়ে যায় একের পর এক লাঠি আঘাত তখন ছেলেকে রক্ষা করতে মাঠে নামে মা আসিয়া খাতুন কিন্তু প্রতিপক্ষের লাঠি আঘাতে শরীরে নেমে আসে নির্মমতা এক লাঠি আঘাতে সব যেন শেষ হয়ে যায়,মা ছেলেকে বাঁচাতে প্রাণ দিল এ যেন এক চূড়ান্ত বলির প্রতীক হয়ে । নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে মৃত্যু আছিয়া খাতুনের পুত্র জলিল মিয়া বলেন তার মায়ের হত্যাকারী মতিয়ার গংদের দ্রুত সময়ের মধ্যে কঠোর শাস্তি দাবী করেন তিনি ।