মোঃ গোলাপ মিয়া লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ- লালমনিরহাটের আদিতমারী সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে দলিল লেখক রুহুল আমিন (পাতি) হাতে হিন্দু এক নারী লাঞ্ছিত খবর পাওয়া গেছে। লাঞ্ছিত ওই নারী আদিতমারী থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী ওই হিন্দু নারী দলিল লেখক রুহুল আমিন পাতি সহ তিন জন কে আসামি করে আদিতমারী থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । জানা যায় আদিতমারী উপজেলা সাব- রেজিস্টার অফিসে সপ্তাহে মঙ্গলবার একদিন দলিল সম্পাদন হয়, দলিল সম্পাদনের ক্রেতা বিক্রেতার চাপ থাকার সুযোগে পাতি রুহুল আমিন হিন্দু সম্পাদের পারিবার দ্বন্দ্ব থাকার জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের কিশামত চন্দ্রপুর গ্রামের শ্রী অনিল চন্দ্র মোহন্ত সাথে অতি সুকৌশলে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ৫৪ শতক জমি শ্রী রঞ্জিত কুমার এবং তার ছেলে সজল চন্দ্র মোহন্তের নামে দলিল রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হবে,এমন সংবাদের ভিত্তিতে অনিল চন্দ্র মহন্তের ছেলে শ্রী অতুল চন্দ্র মোহন্ত ও স্ত্রী শ্রীমতী চন্দনা রানী মোহন্ত খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য আদিতমারী সাব- রেজিষ্ট্রার অফিসে আসেন এসে দেখতে পারে দলিল লেখক রুহুল আমিন অনিল চন্দ্র মোহন্ত তার দ্বিতীয় পুত্র রঞ্জিত কুমার এবং ছেলে সঞ্জয় চন্দ্র মোহন্তের নামে ৫৪ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে যায় দলিল লেখক রুহুল আমিন ।এতে বাধা দেয় অতুল চন্দ্র মহন্ত এবং স্ত্রী শ্রীমতি চন্দনা রানী মোহন্ত ,একপর্যায়ে দলিল লেখক রুহুল আমিন( পাতি) শ্রীমতি চন্দনা রানী মোহন্তের গায়ে আঘাত করেন মুহূর্তের মধ্যে বিষয়টি উপস্থিত লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠলে দলিল লেখক পাতি রুহুল আমিন সাব- রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে সাব- রেজিস্ট্রার দলিল সম্পাদন বন্ধ করে দিয়ে উভয় পক্ষ কে মীমাংসা হওয়ার জন্য থানা পাঠিয়ে দেয়। আদিতমারী থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোজাম্মেল হক এই প্রতিনিধিকে বলেন শ্রীমতি চন্দনা রাণী মোহন্ত বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান ।