সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ অপরাহ্ন
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

অনুষ্ঠিত হলো বর্ণাশ্রম প্রকাশন সংস্থা-র বার্ষিক গ্রন্থপ্রকাশ ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান:

মহীতোষ গায়েন
Update : মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৯:৩৪ অপরাহ্ন

২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতার কৃষ্ণপদ ঘোষ মেমোরিয়াল হলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বর্ণাশ্রম প্রকাশন সংস্থা-র বার্ষিক গ্রন্থ প্রকাশ ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। প্রতি বছরের মতো এবছরেও বর্ণাশ্রম প্রকাশন সংস্থা তাদের গ্রন্থগুলির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। উদ্বোধন করেন কথা সাহিত্যিক সিদ্ধার্থ সিংহ,বিশিষ্ট অধ্যাপক,লেখক,গবেষক,সম্পাদক- ড. মহীতোষ গায়েন এবং বিশিষ্ট সাহিত্যিক ড. বীরেশ্বর মুখোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের মাঝে মাঝে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন বিভিন্ন কবি।
প্রতি বছরের মতো এবছর রামমোহন রাধারানী স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার পান- ড. বীরেশ্বর মুখোপাধ্যায়,সুজিত ভট্টাচার্য ও  গৌতম দত্ত।এছাড়া এবছর থেকে সাহিত্যিক ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় সম্মাননা পুরস্কার চালু হয়। দীর্ঘ বছর ধরে সাহিত্য চর্চার নিরালস প্রয়াসের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রথম বছরেই পুরস্কার পেলেন বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও সম্পাদক ড. মহীতোষ গায়েন, কথাসাহিত্যিক সিদ্ধার্থ সিংহ, বিশিষ্ট শিক্ষিকা মৌসুমী দাস চাকলাদার ও বিশ্বজিৎ দে।বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয় কবি, ঔপন্যাসিক সনৎ ভট্টাচার্য্যকে।অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হয় বর্ণাশ্রম প্রকাশনার নিজস্ব প্রয়াস ড. মহীতোষ গায়েন ও বর্ণাশ্রমের কর্ণধার শুভজিত মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত ৪৮ জন গবেষকের গবেষণা প্রবন্ধ সম্বলিত “পশ্চিমবঙ্গের জেলা ভিত্তিক গবেষণা গ্রন্থ (চতুর্থ খণ্ড)”।
এছাড়া এদিন আরো যে ৩১টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয় সেগুলি হলো: ‘পঞ্চদশে প্রত্যাবর্তন’ – প্রদীপ অধিকারীর,
‘A Handbook of Statistical Quality Control for Engineers’ – ড. বীরেশ্বর মুখোপাধ্যায়, ‘সহোদর’ – অভিজিৎ দে ও বিশ্বজিৎ দে, ‘মনোময় বিশ্ব’ – বিশ্বজিৎ দে, ‘চতুর্দ্দশপদী কবিতা সমগ্র’ – সনৎ ভট্টাচার্য্য, ‘কবিতার ডালি’ – সনৎ ভট্টাচার্য্য, ‘মহানগরী (ইংরাজি অনুবাদ)’ – সনৎ ভট্টাচার্য্য, ‘তীর্থভূমি ভারতের ইতিকথা (দ্বিতীয় খণ্ড)’ – গৌতম দত্ত,  ‘আমৃত্যু ভিক্ষু’ – গোবিন্দ সরকার, ‘ছায়ানট’ – গৌরপদ রায় ,’রাত জাগা পাখি’ – গৌরপদ রায়, ‘রবীন্দ্র মতালোেকে ইংরাজি শিক্ষার পটভূমি’ – মহাদেব জাগাতি দাশগুপ্ত, ‘রাঢ়ের ইতিহাস ও সংস্কৃতি’ – ড. জয়ন্ত মণ্ডল, ‘জ্ঞানকোষ’ – কাবেরী সিংহ রায়, ‘ছড়ার ছন্দে মন আনন্দে’ – খুশী সরকার, ‘রবী-জসী-র নকশীকাঁথা’ – মৌসুমী দাস চাকলাদার(ড.মহীতোষ গায়েন সম্পাদিত)
‘ছোটদের ইতিকথা’ – মৌসুমী ডিংগাল, ‘কবিতার ভাণ্ডার’ – প্রশান্ত ঘোষ, ‘মন পাখি মেলে ডানা’ – অর্পিতা মিত্র চক্রবর্তী, “মা” – সম্পাদনায় – রাজীব দত্ত, ‘কিছু কথা ছিল’ – সাধন রায়, ‘না বলা কথা’ – সাধন রায়,  ‘ঐতিহাসিক হুগলীর ঐতিহ্যের সন্ধানে’ – সৈকত বিশ্বাস, ‘গন্তব্য’ – সঙ্গীতা ব্যানার্জী, ‘Sir Rajen Sir Biren [The Architects of Burnpur] ‘ – শ্যামল হোম রায় ও ড. বীরেশ্বর মুখোপাধ্যায়, ‘১৬আনা গদ্য’ – সিদ্ধার্থ সিংহ,
‘মনের আকাশ’ – শুভ্রা দাস, ‘উজান স্রোতের সাথে’ – সুজিত ভট্টাচার্য,’অবিভক্ত নদীয়া জেলার লোকধর্ম ও লোক সংস্কৃতি (প্রথম খণ্ড)’ – সুপ্রিয়া সাহা, ‘ছন্দমালিকা’ – স্বপন কুমার রায়, ‘উপনিষদের আলোকে ত্রয়ী’ – কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায়।
সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়,এর পর তিলোত্তমার স্মৃতিতে শোক পালন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের ১৮টি জেলা থেকে প্রায় দেড় শতাধিক,কবি, সাহিত্যিক, গবেষক এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host