এনএসবি ডেস্ক: এর আগে গত ২১ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার তিন বছরের কারাদণ্ড দেন সাহেদকে। রায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয় তাকে। ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়। গত বছরের ১৭ এপ্রিল সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে সাহেদের বিরুদ্ধে ঢাকা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ মামলা করেন। তদন্ত শেষে গত ২ ফেব্রুয়ারি সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে দুদক। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর নির্ধারিত ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে সাহেদকে নোটিশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। এ সময়ে সম্পদের হিসাব জমা না দেয়ায় আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেয় হয়। তবে বর্ধিত সময়েও সম্পদ বিবরণী জমা দেননি সাহেদ। পরে অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ অভিযোগে ২০২১ সালের ১ মার্চ সাহেদের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা করা হয়। পরে মামলার অভিযোগ গঠন করে ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল সাহেদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেন আদালত। এ মামলায় বিভিন্ন সময়ে মোট ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের জামিন নামঞ্জুর করে আপিল শুনানির জন্যে গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো.আখতারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।