মোঃ গোলাপ মিয়া ষ্টাফ রিপোর্টারঃ লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার কুমড়ীর হাট এস ,সি ,দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলহাজ্ব নুরুজ্জামান আহমেদ এমপির ফুফাতো ভাই মোঃ কামরুল ইসলাম কাজল এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ সংক্রান্ত তদন্তের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে । ৯ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১০ ঘটিকা সময় আদিতমারী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নুর-আলম সিদ্দিকী উপস্থিত থেকে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেন। অভিযোগকারী ব্যক্তিগণ বলেন আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে কুমড়ীর হাট এস, সি, দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম কাজল সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলহাজ্ব নুরুজ্জামান আহমেদ এমপির ক্ষমতা অপব্যবহার করে ১৪ জন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য করেছে। প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম কাজল ১৪ জন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছে গোপনে। আর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পৃবের ডেট দিয়ে আর পত্রিকা সম্পাদক হচ্ছে তার আপন বড় ভাই যা তদন্ত করলে প্রমাণিত হবে । এই সকল অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য থেকে প্রায় ১ কুটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ক্ষমতা অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৭০ টি বিভিন্ন প্রকার গাছ কর্তন করে বিক্রি করছেন। স্কুলের জমি একোয়ার বাবদ সরকার ৯ লক্ষ টাকা চেকের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে দিয়েছে সেই টাকা উত্তোলন করে প্রধান শিক্ষক আত্মসাৎ করেন । স্কুলের জমিতে টাওয়ার নেটওয়ার্ক নির্মান বাবদ ৪ লক্ষ টাকা জামানত নিয়ে আত্মসাৎ করেছে। আওয়ামী লীগের শাসনামলে পকেট কমিটি দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করেছে। এলজি এসপির কমলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ থেকে বেঞ্চ তৈরি দেখিয়ে ৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে । বিদ্যালয়ের কৃষি জমি লিজ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে। অভিযোগকারী মোঃ ইদ্রিস আলী, মাহাবুবুর রহমান খান বাবু, নুরুল হক, অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মকবুল হোসেন, আফতাব উদ্দিন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মহসিন আলী, প্রতিষ্ঠানে সাবেক সদস্য জিকরুর ইসলাম, সাবেক সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল করিম প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রদিপ কুমার রায়, সহকারী শিক্ষক সামসুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক আহসান হাবীব বুলু সহ সচেতন মহলের দাবি বর্তমান প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম কাজল সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর আপন ফুফাতো ভাই আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম কাজল যে সকল অনিয়ম দুর্নীতি করেছে সরজমিনে তদন্ত করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সহ অপসারণের দাবি জানিয়েছে । গত ১ মাস ধরে দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকে অপসারণের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে স্থানীয় সচেতন মহল।