বঙ্গবন্ধু নেতা ও কবি
মহাকবি মধুসূদন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ কিংবা অন্যকোন শক্তিমান কবির মতো তিনিও কবি।
তবে কখনো কবিতা লিখতেন কি না, তবুও তিনি গণমানুষের কবি,
যার কবিতার লাইন কোটি মানুষের মুখে মুখে,
অন্তরে অন্তরে,,এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
তিনি বাংলাদেশের কবি প্রধান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তাই আমরা সকলে কবি ও কবিতার জাতি।
তিনি যদি প্রধান কবি নাই বা হতেন, তাহলে এ দেশ কবি ও কবিতার দেশে পরিনত হতো না।
আজ হাজার হাজার কবিতার জন্মই বা কি করে হতো? কবিতা লিখুক বা না লিখুক তিনি নিশ্চয়ই কবি।
তাঁর অমর কবিতা আজ শতশত কবির প্রেরণার উৎস।
তিনি কবিতা লিখতেন কি? তার লেখা কবিতা সফেদ পাঞ্জাবির উপর পরা কালো কোটের পকেটে রাখতেন কি না, আমরা জানি না, দেখিওনি।
যত ভাষণে ভাসাতো আমাদের সব কেমন যেন এক ঝড়ো গতিতে প্রতিবাদী ও অপ্রতিবাদী কবিতা হয়ে যেতো।
সে এক অনর্গল মুখস্ত কবিতা পাঠ! বিস্ময়ে কোটি মানুষ তারঁ মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতো।
স্বদেশ প্রেমে উদ্বেলিত আজো।
কখনো তর্জনী উছিয়ে,মঞ্চ কাপিয়ে, বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুলে, নতুন নতুন কবিতা শোনাতো।
জনসমুদ্রের জোয়ারে ভেসে যেতো সে কবিতার অদৃশ্য পৃষ্ঠাগুলো!
যে কবিতা বাঙ্গালির হাজার বছরের মুক্তির বারতা,
যে কবিতা নিপিড়ীত মানুষের না বলা কথা, যে কবিতা কৃষক শ্রমিকের চঞ্চল চোখের ব্যাকুলতা, যে কবিতা সর্বোপরি শুধু স্বাধীনতারই প্রচন্ড আকুলতা।
তিনি কবি নেতা, তিনি নেতা কবি, তিনি কবিতা লিখেননি তবু কবি, তিনি সব কবির দৃষ্টিতে কবি, তিনি কবিতা না লিখেও হৃদয়ে আঁকলেন কবিতায় কবিতায় বাংলাদেশের অপরুপ ছবি।